তোমার পালা



রাত এগারোটা বাজে আকশে পূর্ণিমার আলোর ছড়াছড়ি চারপাশে শুনশান নিরবতা দূরের ঝোপ থেকে ঝিঁঝি পোকাদের একটানা আওয়াজ ভেসে আসছে রনির আজ মন ভাল একটু বেশী ভাল ফারহান রহমান রনি ব্যাংকে চাকরী করে ভালই বেতন পায় সে আর তার বউ মিলি রাজার হালে আছে বলতে গেলে বাড়তি কোন ঝামেলা নেই বাচ্চা কাচ্চা নেই বছর তিনেকের ভেতর নেওয়ার ইচ্ছেও নেই আজ রনির প্রোমোশন হয়েছে জুনিয়র অফিসর থেকে তার ্যাঙ্ক এখন অফিসার মনের ভিতর বসন্ত বাতাস আজ আকুপাকু করছে মিলির জন্য দামী একটা সিল্কের শাড়ি কিনে এনেছে পাশের ঘরে মিলি সেই শাড়ীটা পড়ছে

বাতাসে দরজার পর্দা ঊড়ছে পর্দা সরিয়ে মিলি সামনে এসে দাঁড়াল বিয়ের দেড় বছরের মাথায় মিলিকে তার কাছে এখনো চির নতুন বলে লাগে তার কাছে বুকের বামপাশে হালকা একটা শীতল স্রোত অনুভব করল সে খাট থেকে উঠে মিলিকে বুকে টেনে নিল তার পৌরুষদিপ্ত ঠোঁটের অত্যাচারে মিলি বেসামাল হয়ে গেল জগতের সব কিছু ভূলে গেল তারা প্রেম সাগরের ঢেউয়ে ভাসছে তারা শুধু তারা দুজন রনির কেনা সাধের শাড়ীটা ধুলোয় লুটোতে লাগ্ল সেদিকে ভ্রুক্ষেপ করার সময় নেই খাটের উপর তাদের বিবস্ত্র দেহজোড়া পৃথিবীর মহানতম আদিম খেলায় মেতে উঠেছে

হঠাৎ মিলির মনে হল, ঘরের ভিতর কিছু একটা হাটছে রনিকে সে থামানোর চেষ্টা করল কিন্তু রনি এখন সুন্দরবন এক্সপ্রেসের গতিতে চলছে থামে কিভাবে মিলি কোন মতে হাত বাড়িয়ে টেবিল লাইটের সুইচটা জ্বালাল যা দেখল তাতে তারা দুজন চিৎকার দিতে গিয়েও থেমে গেল গলা দিয়ে স্বর নামছে না মনে হচ্ছে তারা বোবা হয়ে গেছে ঘরের ভিতর একজন অচেনা পুরুষ দাঁড়িয়ে আছে মুখে রুমাল বাঁধা লাদেনের চেলাদের মত তাদের দিকে পিস্তল বাগিয়ে আছে ধমক দিয়ে বলল, কোন শব্দ নয়!

মিলি-রনি বুঝতে পারল তারা ডাকাতের কবলে পড়েছে মিলি মনে মনে ভাবার চেষ্টা করল, নাহ দরজা-জানালা তো সে ঠিকই লাগিয়েছে তাহলে লোকটা ফ্লাটের ভিতর ঢুকল কিভাবে ডাকাতটা মিলি রনিকে সোফার চেয়ারে বেঁধে রাখল একজন পরপুরুষের সামনে বিবস্ত্র মিলি বসে আছে তার লজ্জা করছিল সে কাপতে লাগল রনি শরীরও সুগঠিত দুইহাত শক্ত করে চেয়ারে বাঁধা তার ইচ্ছে করছিল ডাকাতটার দুইপায়ের মাঝে কষে একটা লাথি মারতে পুরুষ হয়ে কেউ পুরুষ মানুষকে অপমান করে ডাকাতটা তার বাসায় আলমারীর চাবি ছিনিয়ে নিল তন্ন তন্ন করে খুঁজেও খুব বেশী টাকা পেল না রনির মুখে পিস্তলের বাট দিয়ে বাড়ি মেরে বলল,
-      শালা, হারামজাদা ব্যাঙ্কে চাকরি করিস আর বাড়িতে টাকা থাকে না কেমন কথা?

রনির হাসি পেল, বলল, ব্যাংকার যদি টাকা ব্যাঙ্কে না রাখে তাহলে অন্য লোক ভরসা পাবে কিভাবে
ডাকাত টা মুচকি হাসল, বাড়িতে টাকা না থাক, তোর সুন্দরী বউ তো আছে তাকে দিয়েই না হয় আজকের খ্যাপ উশুল হবে বলেই সে তার নিজের পোষাক খুলতে শুরু করল মিলির মুখ বাঁধা সে ফোঁপাতে লাগল রনিও অক্ষম আক্রোশে হাতের বাঁধন ছোটানোর চেষ্ট করল বিবস্ত্র লোকটা মিলিকে চেয়ারে বসা অবস্থায় তার দুই পা কাঁধে তুলে নিল মিলির হাত বাঁধা আছে মুখের বাঁধন খুলে ডাকাত টা চুমু দিতে লাগল এসব লোকের সেক্স মুলত লজ্জাস্থান কেন্দ্রিক শৃংগার মৈথুনে তারা বেশী সময় ব্যয় করে না ডাকাত টাও তাই করল মিনিট দুয়েকের ভিতর কনডম বের করে ফেলল রনি অবাক হয়ে খেয়াল করল ডাকাতটার গোপন জিনিসের সাইজ ছেলে তুমি অবাক হয়ে যাবে, বলবে ওয়াও মিলির সামনে রনির কিছুটা লজ্জা করতে লাগল

থ্রি এক্স সিনেমায় রনি এরকম চেয়ারে বসা সেক্স দৃশ্য অনেক দেখেছে, কিন্তু বাস্তব জীবনে সে নিজেও উপভোগ করে নাই না চাইলেও সে লোকটার প্রতিটার স্ট্রোক খেয়াল করে দেখছে বোঝা যাচ্ছে এই কাজে লোকটা বেশ অভিজ্ঞ মাসলমানের মত ফিগার তার আধাঘন্টা পর সে থামল মিলির কানে কানে কিছু যেন বলল তারপর কাঁধ থেকে মিলির পা নামিয়ে বাথরুমে গেল ক্লান্ত বিব্ধস্ত মিলি হাত বাঁধা অবস্থায় চেয়ারে মাথা এলিয়ে দিল রনি ভাঙা গলায় জানতে চাইল, ডাকাতটা তোমার কানে কানে কি বলল

মিলি ক্লান্ত গলায় উত্তর দিল, “লোকটা বলল তোমার স্বামী দেখতে অনেক কিউট তাকে আমার পছন্দ হয়েছে এবার তোমার পালা রনি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন