টেক্সাসের একজন বিচারক ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি আর কোন স্ট্রেইট কাপলের বিয়ে পড়াবেন না যতদিন পর্যন্ত গে এবং লেসবিয়ান রা বিয়ে করার অধিকার না পায়।

কথায় আছে, অল ইজ ফেয়ার ইন লাভ এন্ড ওয়ার। যুদ্ধ এবং ভালবাসায় সব কিছু
বৈধ। থ্রি ইডিয়টস সিনেমা দেখার সময় ডায়ালগটা মাথায় ঢুকে যায়। আজ আবার
সেটাই মনে পড়ে গেল খবর টা পড়ার পর। টেক্সাসের একজন বিচারক ঘোষণা দিয়েছেন,
তিনি আর কোন স্ট্রেইট কাপলের বিয়ে পড়াবেন না যতদিন পর্যন্ত গে এবং
লেসবিয়ান রা বিয়ে করার অধিকার না পায়।
আপনি ভাবছেন বিয়ে পড়াতে আবার বিচারকের খবরদারী কেন। যিনি জানেন না তার
জন্য বলছি। আমাদের দেশে বিয়ে পড়তে মৌলভি-ঠাকুর মশায় লাগে। বিলেত-
আমেরিকায় গির্জার পাদ্রি দিয়েও কাজ সারা যায়। কিন্তু বিয়েটা ফাইনাল হল
বিচারকের কোর্টে। টেক্সাস, ডালাসের ঐ বিচারক টনিয়্যা পার্কার বলেন, "আমি
আর স্ট্রেইট বিয়েতে কাজ করব না কারণ এর দ্বারা কখনোই আইনের সাম্য প্রয়োগ
হবে না" আইন তো সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। পার্কার একজন লেসবিয়ান।
পার্কার জানান, তিনি সময় নিয়ে ব্যাখ্যা করেন কেন তিনি বিয়ে পড়াবেন না। "
আমি দেশে বিয়ের সমধিকার নিয়ে কথা বলার সুযোগ হিসেবে এটা করছি। আমি অনুভব
করলাম, আমার উচিত তাদের বুঝিয়ে বলা আমি কেন তাদের দূরে সরিয়ে রাখছি। আমি
সাধারনতঃ তাদের এভাবে বলি- আমি দুঃখিত, আমি বিবাহ পড়াই না কারণ আমাদের
দেশে বিয়েতে সমধিকার নাই। আর আমি কোন আইনের আংশিক প্রয়োগ করতে পারব না যা
এক শ্রেনীর লোকের জন্য প্রযোজ্য কিন্তু অন্যশ্রেনীর লোকের জন্য নয়।"

পার্কার একমাত্র ব্যক্তি নন যিনি সমকামীদের অধিকার আদায়ে প্রচেষ্টা
চালাচ্ছেন। এন্টোনিও ডার্ডেন নিউ মেক্সিকোর একজন হেয়ার ড্রেসার। তিনি তার
দোকানে রাজ্য গভর্নরের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছেন। টেক্সাসের মহিলা গভর্ণর
সম্পর্কে ডার্ডেন বলেন, "সমকামী বিয়ে বিষয়ে তার মতামতের সাথে আমি একমত
নই। এটা পুরুষ এবং নারী সম্পর্কিত কোন বিষয় নয়, এটা সমধিকারের বিষয়, এটা
মর্যাদার লড়াই। তাই যখন তার এসিস্টেন্ট চুল কাটার জন্য বুকিং চায় আমি
সাথে সাথে না করে দেই।"

নিউ মেক্সিকোতে সমধিকার নিয়ে সবসময় কথা বলেন নিকোলাস রাইমার। তিনি বলেন,
অনুগত জনগনের অশ্রদ্ধা আসে নানারুপে- গায়ের রঙের জন্য এক শ্রেনীর মানুষকে
বাসে পিছে বসতে হত একসময়। আজ একজন চুল পরিচর্যাকারী রাজ্য গভর্নরের চুল
কাটটে অস্বীকার করছেন সমলৈঙ্গিক বিয়েতে বিপরীত ধারণা পোষণ করায়।

কালো মানুষগুলো সংগ্রাম করেছিল বলেই আমেরিকা আজ একজন নিগ্রো প্রেসিডেন্ট
পেয়েছে। পার্কার, ডার্ডেন, নিকোলাস দের লড়াই যদি সফল হয় তাহলে হয়তো
এমেরিকা এমন কোন প্রেসিডেন্ট পাবে যে বিশ্বাস করবে পৃথিবীর সব মানুষের
জন্য আইন সমান।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন