আমার নিজের গাড়ী নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকুরি করে গাড়ি কেনার সামর্থ্য এখনো হয়ে ওঠে নাই। লেকচারার হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছি বছর দুয়েক। দীপ্ত ভাইয়া শোনার পর প্রথম দিন থেকেই আমাকে মাস্টার মশাই বলে ডাকা শুরু করেছেন। এখনো তাই ডাকেন।
ক্যাবে ভাইয়া আর ভাবী বসেছে পেছনে। আমি সামনে ড্রাইভারের পাশের সিটে। আমার কোলে দীপ্ত ভাইয়ার রাজপুত্র। অক্ষর, দীপ্ত ভাইয়ার ছেলের নাম। আমার গলা জড়িয়ে ধরে বসে রাজ্যের প্রশ্ন করে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলার চর্চা কতটা হয় আমার জানা নেই। তবে অক্ষরের মুখে বাংলার আধো টানটা কানে বেশ মধুর লাগছে। তার বাংলা উচ্চারণ ঝরঝরে কিন্তু ভোকাবুলারি অত সমৃদ্ধ নয়। প্রতি সেন্টেন্সে ইংরেজী অক্ষরের ছড়াছড়ি। আমি তার কচি মুখের দিকে অপলকে চেয়ে থাকি বেশ কিছুক্ষন। অন্য এক ভাবনা মাথায় আসে।
ভিউ গ্লাসে দেখলাম ভাবীও ঢাকা শহর দেখায় ব্যাস্ত। অনেক দিন পরে এসেছেন। অনেক কিছুই বদলে গেছে। তাই চেনা ঢাকাকে নতুন করে চেনার চেষ্টা করছেন। দীপ্ত ভাইয়ার চোখ ড্রাইভারের উপরের গ্লাসে। এভাবে কেন তাকাও দীপ্ত ভাইয়া! সময় অনেক পেরিয়ে গেছে। এই ঢাকার মহাসড়কের উপর দিয়ে পার হয়ে গেছে হাজারো মানুষ, হাজারো সব গল্প। ভাবী বেশ বিরক্তি নিয়ে বললেন, ঢাকার অনেক কিছুই চেঞ্জ হয়ে গেছে। পুরো রাস্তাটাই অচেনা লাগছে। কিন্তু জ্যামটা চেঞ্জ হলো না। সেই আগের মত রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা। তোমার ফ্লাটে পৌঁছাতে আর কতক্ষণ লাগবে মাস্টার। শীতের এই সন্ধ্যায় ঢাকার বুকে আজ হালকা উত্তাপ। আমার বুকের উত্তাপ কি আজ বাতাসের শরীরে গিয়ে মিশলো।
- আর বেশীক্ষণ না। আধাঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবো। বোরিং লাগছে খুব?
- আধা ঘন্টা! ভ্যাপসা গরম ভাব লাগছে। ড্রাইভার এসি টা একটু বাড়িয়ে দাও ভাই। অনেক দিন পর এলাম তো।
দীপ্ত ভাইয়া শিস দিতে দিতে বললেন, কণা এত অস্থির হচ্ছো কেন? হাতে আমাদের অনেক সময়। পুরো একমাস এবার দেশে থাকবো আমরা। দেশে এসেছি। দেশের বাতাস টা একটু উপভোগ করতে দাও। পুরোনো সেই উত্তাপ। পুরাতন সেই আবেগ একটু চেখে দেখি।
গুনগুনিয়ে একটা সুর ভাঁজা শুরু করলেন, পুরোনো সেই দিনের কথা ভূলবি কিরে হায়!
হায়! রবীন্দ্রনাথ, অস্থির কিছু গান লিখে গেছো তুমি। আমার মনের সব কথা তুমি যেন আগে থেকেই পড়ে রেখেছিলে। আমার সব কথা খুঁজে পাই তোমার গানে। পুরোনো দিনের কথা আমি ভূলতে পারিনি কখনো। পুরোনো দিনের কথা গুলো প্রাণের ব্যাথাগুলো সন্তানের মত লালন করি নিজের মাঝে।
প্রথম পর্ব - লাইফ উইদাউট লাভ-১
ক্যাবে ভাইয়া আর ভাবী বসেছে পেছনে। আমি সামনে ড্রাইভারের পাশের সিটে। আমার কোলে দীপ্ত ভাইয়ার রাজপুত্র। অক্ষর, দীপ্ত ভাইয়ার ছেলের নাম। আমার গলা জড়িয়ে ধরে বসে রাজ্যের প্রশ্ন করে যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় বাংলার চর্চা কতটা হয় আমার জানা নেই। তবে অক্ষরের মুখে বাংলার আধো টানটা কানে বেশ মধুর লাগছে। তার বাংলা উচ্চারণ ঝরঝরে কিন্তু ভোকাবুলারি অত সমৃদ্ধ নয়। প্রতি সেন্টেন্সে ইংরেজী অক্ষরের ছড়াছড়ি। আমি তার কচি মুখের দিকে অপলকে চেয়ে থাকি বেশ কিছুক্ষন। অন্য এক ভাবনা মাথায় আসে।
ভিউ গ্লাসে দেখলাম ভাবীও ঢাকা শহর দেখায় ব্যাস্ত। অনেক দিন পরে এসেছেন। অনেক কিছুই বদলে গেছে। তাই চেনা ঢাকাকে নতুন করে চেনার চেষ্টা করছেন। দীপ্ত ভাইয়ার চোখ ড্রাইভারের উপরের গ্লাসে। এভাবে কেন তাকাও দীপ্ত ভাইয়া! সময় অনেক পেরিয়ে গেছে। এই ঢাকার মহাসড়কের উপর দিয়ে পার হয়ে গেছে হাজারো মানুষ, হাজারো সব গল্প। ভাবী বেশ বিরক্তি নিয়ে বললেন, ঢাকার অনেক কিছুই চেঞ্জ হয়ে গেছে। পুরো রাস্তাটাই অচেনা লাগছে। কিন্তু জ্যামটা চেঞ্জ হলো না। সেই আগের মত রাস্তায় ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকা। তোমার ফ্লাটে পৌঁছাতে আর কতক্ষণ লাগবে মাস্টার। শীতের এই সন্ধ্যায় ঢাকার বুকে আজ হালকা উত্তাপ। আমার বুকের উত্তাপ কি আজ বাতাসের শরীরে গিয়ে মিশলো।
- আর বেশীক্ষণ না। আধাঘন্টার মধ্যে পৌঁছে যাবো। বোরিং লাগছে খুব?
- আধা ঘন্টা! ভ্যাপসা গরম ভাব লাগছে। ড্রাইভার এসি টা একটু বাড়িয়ে দাও ভাই। অনেক দিন পর এলাম তো।
দীপ্ত ভাইয়া শিস দিতে দিতে বললেন, কণা এত অস্থির হচ্ছো কেন? হাতে আমাদের অনেক সময়। পুরো একমাস এবার দেশে থাকবো আমরা। দেশে এসেছি। দেশের বাতাস টা একটু উপভোগ করতে দাও। পুরোনো সেই উত্তাপ। পুরাতন সেই আবেগ একটু চেখে দেখি।
গুনগুনিয়ে একটা সুর ভাঁজা শুরু করলেন, পুরোনো সেই দিনের কথা ভূলবি কিরে হায়!
হায়! রবীন্দ্রনাথ, অস্থির কিছু গান লিখে গেছো তুমি। আমার মনের সব কথা তুমি যেন আগে থেকেই পড়ে রেখেছিলে। আমার সব কথা খুঁজে পাই তোমার গানে। পুরোনো দিনের কথা আমি ভূলতে পারিনি কখনো। পুরোনো দিনের কথা গুলো প্রাণের ব্যাথাগুলো সন্তানের মত লালন করি নিজের মাঝে।
প্রথম পর্ব - লাইফ উইদাউট লাভ-১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন